ক্রীড়া ডেস্ক: মোহাম্মদ সামি ও জাসপ্রিত বুমরার বোলিং নৈপুণ্যে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে লড়াইয়ে ফিরেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ৭ রানের ছোট একটা লিডও নিয়েছিল সফরকারীরা। পরে অবশ্য বিরাট কোহলি-চেতেশ্বর পূজারারা প্রতিপক্ষের বোলিং তোপে সে লিডটাকে বেশিদূর নিতে পারেনি। যে কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অস্বস্তিতে পড়েছে সফরকারীরা।
গতকাল সকালে শামি-বুমরার দাপটে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। শামি ৮১ রানে চার আর ৬২ রানে তিন উইকেট নেন বুমরা। যে কারণে সাত রানের লিড পেয়েছিল ভারত। এর ফলে সফরকারী শিবিরে ফিরেছিল আত্মবিশ্বাস। কিন্তু তা ব্যাটিংয়ে দেখাতে পারেননি বিরাট কোহলিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯০ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে এখন চাপে পড়েছে দলটি। দ্বিতীয় দিনের শেষে লিড মাত্র ৯৭ রান। হাতে রয়েছে চার উইকেট। এর আগে হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনে ২৪২ রানে থেমেছিল ভারত।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে গতকাল বিনা উইকেটে ৬৩ নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মোহাম্মদ সামি ও বুমরাদের বোলিং তোপে স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকরা। দু’ঘণ্টায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে কিউইরা যোগ করেছিল মাত্র ৭৯ রান। তার আগে দ্রুত সাজঘরে ফিরেন টম ব্লান্ডেল (৩০), কেন উইলিয়ামসন (৩), রস টেইলর (১৫), টম লাথাম (৫২), হেনরি নিকলস (১৪)।
লাঞ্চের সময় হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ১৪২ তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তখনও ভারতের লিড ছিল ১০০ রান। কিন্তু কাইল জেমিসনের (৪৯) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা লিড পায় মাত্র ৭ রান।
৭ রানের ছোট লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই ভারতের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নড়বড়ে। যে কারণে ফের চাপে পড়ে গেল ভারত। দুই ওপেনার ময়াঙ্ক আগারওয়াল (৩) ও পৃথ্বী শ (১৪)-কে দ্রুত ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট
ও টিম সাউদি। এরপর বিরাট কোহালিকে (১৪) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেরান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। পরে ফিরেন অজিঙ্ক রাহানে (৯), চেতেশ্বর পূজারা (২৪), ও উমেশ যাদব (১)।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ১২ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।