ক্রীড়া ডেস্ক:পাকিস্তান–ভারত ম্যাচ মানেই উত্তাপ, উৎকণ্ঠা। কে জিতবে, কে হারবে! এ নিয়েই দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে মাঠের বাইরে চলে অন্যরকম এক লড়াই। সেটাই আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে ঘিরে। অপেক্ষার অবসান হতে বাকি মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিটে বার্মিংহামে শুরু হচ্ছে পাক-ভারত ক্রিকেটযুদ্ধ।
রাজনৈতিক কারণে অনেকদিন ধরেই বন্ধ পাক-ভারত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। যে কারণে আইসিসির কোনো ইভেন্ট ছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির খেলা যায় না। সেই ধারাবাহিকতায় আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠে নামছে প্রতিবেশী দুই দেশ। অনেক আগের হাইভোল্টেজ এ ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। বার্মিংহামের গ্যালারি আজ পাক-ভারত সমর্থকদের গর্জনে মুখরিত হবে, তা বলাই যায়।
এখন পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এ দুই দলের দেখা হয়েছে ৬ বার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই হয়েছে ৬ বার। যেখানে একটি ম্যাচ অবশ্য হয়েছে ড্র। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাক-ভারত মুখোমুখি হয়েছে এখন পর্যন্ত ৩ বার। কিন্তু সব ম্যাচেই জিতেছে ভারত। এবার কি পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারবে সরফরাজ আহমেদের দল। যদিও পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, আজকের ম্যাচে শক্তির বিচারে ভারতই এগিয়ে। তবে দেশটির সাবেক পেসার শোয়েব আক্তারের বাজী পাকিস্তানই।
পাকিস্তান-ভারত এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ১২৭ ম্যাচ। যেখানে ভারতের ৫৯ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৭২টি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠে নামার আগে এ পরিসংখ্যান পাকিস্তানকে হয়তো কিছুটা স্বস্তি দেবে। তারপরও খেলাটার নাম ক্রিকেট। দিন শেষে ফলাফলই সব।
সম্প্রতি সময়ে দুই দলই রয়েছে ফর্মের তুঙ্গে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়েছে ভারত। অন্যদিকে টাইগারদের বিপক্ষে ৩৪২ রান চেজ করে ২ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তান। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড পাড়ি দিয়েছিল সরফরাজ আহমেদরা।
পাকিস্তানের জন্য আজ ভয়ের কারণ হতে পারেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। তাছাড়া দলটির অন্য ব্যাটসম্যানরাও কম যাচ্ছেন না। এদিকে দেশটির পেস অ্যাটাক পরীক্ষায় ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। জাসপ্রিত বুমরা, ভুবেনশ্বের কুমার, উমেশ যাদবরা এরই মধ্যে সে প্রমাণ দিয়েছেন। স্পিনে তুরুপের তাস হতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।
ছেড়ে কথা বলবে না পাকিস্তানও। দেশটির বোলাররা যে কোনো দলকেই যে কোনো সময়ই ফেলতে পারে মহাবিপদে। মোহাম্মদ আমির, জুনায়েদ খান, হাসান আলি, ওয়াহাব রিয়াজদের নিয়ে দুর্দান্ত পেস অ্যাটাক দেশটির। স্পিনে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারেন তরুণ স্পিনার সাদাব খান। পাকিস্তানের চিন্তার নাম ব্যাটিং। যদি এ ডিপার্টমেন্টে জ্বলে ওঠেন আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদরা, তাহলে ভারতের বিপক্ষে জেতা অসম্ভব হবে না পাকদের জন্য। এখন দেখার বিষয় আসলে আজ এ দুই দেশের লড়াইয়ে কী হয়।
Add Comment