চঞ্চল রহমান : ঈদের এক দিন পরই মাঠে গড়ালো চট্টগ্রাম টেস্ট। তাই তো এবারের কোরবানির ঈদ পরিবার-পরিজনদের ছাড়াই কাটাতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। খানিকটা মন খারাপ হলেও পেশাদারিত্বের কারণে সেটা বুঝতে দেননি নাসির-সাব্বিররা। বরং নিয়তিটা মেনে নিয়ে এমন খুশির দিনেও ব্যাট-বল হাতে অনুশীলনে সময় কাটান তারা।
এদিকে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, মেহেদী হাসান মিরাজরা ঢাকায় কোরবানির ঈদ করে শনিবার রাতেই চট্টগ্রাম পৌঁছান। আর তামিম ব্যস্ত ছিলেন ঈদে সতীর্থদের মাঝে আরেকটু ভিন্ন আমেজ ছড়িয়ে দিতে। মেজবানি ভোজের আয়োজন করেন তিনি।
সবার মতো ঈদের দিনে পরিবারকে মিস করেছেন নাসির হোসেনও, যা লুকাতে পারেননি টাইগার এ অলরাউন্ডার। শনিবার যেমনটা বলছিলেন তিনি, ‘পরিবারকে মিস করছি, এটা নতুন নয়। এর আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও চট্টগ্রামে ঈদ করেছি। অবশ্য একটু খারাপ তো লাগছেই, কিন্তু পেশাদার ক্রিকেটার আমরা।’
এবারের কোরবানির ঈদ ক্রিকেটারদের কাটবে চট্টগ্রামে, তা আগে থেকেই জানা ছিল সবার মতো বন্দরনগরীর ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের। যে পরিবারের সদস্য আবার টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তাই তো নিজ বাড়িতে সতীর্থদের মেজবানি আয়োজনের সুযোগটা কিছুতেই হাতছাড়া করলেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামে পা রাখেন নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও কোচিং স্টাফরা। তামিম এবং তার চাচা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান তাদের অভ্যর্থনা জানান। আর ঈদের দিন রাতে ঢাকা থেকে বন্দরনগরীতে পৌঁছান মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদসহ ৮ ক্রিকেটার। এরপরই সবাই ছুটে যান তামিমের কাজির দেউড়ীর বাসায়। সেখানেই বসে টাইগারদের ঈদের মিলনমেলা, যার শেষটা হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি ভোজের মধ্য দিয়ে।
এদিকে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঈদ করেছেন তার জš§স্থান নড়াইলে। সেখানেই পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। নামাজশেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ম্যাশ।
Add Comment