ক্রীড়া প্রতিবেদক: এক সপ্তাহ আগেই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। তাই বাংলাদেশ দলে এখন জায়গা পেতে হলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ব্যাপারটি এরই মধ্যে এ তারকা জেনেছেন। তাই নিজেকে ফিট রাখতে আগের মতোই মিরপুরের একাডেমি মাঠে জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন তিনি। সেখানেই কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার, যারা নিজে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ক্রিকেটারদের সঙ্গে নেই কোনো কোচ। ব্যাপারটি নড়াইল এক্সপ্রেসকে ভাবাচ্ছে বেশ। সে কারণে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
মূলত জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের এইচপির কার্যক্রমে রাখা হয়। কিন্তু বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে চলে এ কার্যক্রম। বাকি সময় এইচপি নিয়ে বিসিবির কোনো পদক্ষেপই দেখা যায় না। এ জায়গাটা থেকে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে বেরিয়ে আসতে পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি।
এইচপির সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুশীলনে সুবিধা হবে বলে মনে করেন মাশরাফি। এ কারণে এইচপিতে বছরে অন্তত আট মাস অনুশীলন চান তিনি। ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য পরামর্শ থাকল মাশরাফির। বলেন, ‘আমি মনে করি এইচপিতে বছরে ন্যূনতম আট মাস অনুশীলন রাখা হলে ভালো হয়। তাতে করে জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং অভিজ্ঞরা নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে থাকতে পারবে। কারণ এইচপি থেকে কোচ পাওয়া গেলে ছেলেরা নিজেদের সঠিক পরিচর্যা করার সুযোগ পাবে। একটা প্রক্রিয়ার ভেতরে থাকলে উন্নতি হবেই।’
বর্তমানে ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটারদের অনুশীলন থেকে শুরু করে চোট, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যন্ত তদারকি করেন তিনি। সে উদাহরণ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘ভারতে হাইপারফরম্যান্স সেন্টার (ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি) আছে। ইশান্ত শর্মা ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফেরেন। ফেরার পর তাকে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে রিপোর্ট করতে হয়েছে। দ্রাবিড় তাকে ট্রেনার এবং ফিজিও দিয়েছেন এবং প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট করতে বলেছেন।’
ভারতের মতো বাংলাদেশের হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের সুযোগ-সুবিধা চান মাশরাফি। তেমনটা হলে তরুণ ক্রিকেটাররা উপকৃত হবে। পরে এর সুফল পাবে জাতীয় দল।