ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খেলাপি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক

নিয়াজ মাহমুদ: ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চার হাজার টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করেননি ড. মো. কিসমাতুল আহসান। এ কারণে ঋণখেলাপির তালিকায় নাম উঠেছে তার। তিনি আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) রিপোর্টে এ তথ্য আসায় প্রতিষ্ঠানটির বন্ড ছাড়ার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক কিসমাতুল আহসান ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পদে আছেন। সম্প্রতি সিআইবি রিপোর্টে তিনি একজন ঋণখেলাপি বলে তথ্য উঠে এসেছে। আর এ জন্য আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের বন্ড (যার ট্রাস্টি আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের লিডিং ইউনির্ভাসিটির সাবেক এই ভাইস চ্যান্সলর একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যথা সময়ে পরিশোধ করেনি। সিআইবির সর্বশেষ অক্টেবর মাসের তথ্যের ভিত্তিতে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের এ পরিচালক ঋণখেলাপি বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে কিসমাতুল আহসান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘সিআইবি রিপোর্টে আমার ঋণখেলাপির যে তথ্য উঠে এসেছে, তা সত্য। মাত্র চার হাজার ২০০ টাকা ক্রেডিট কার্ড বাবদ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক চার্জ পরিশোধ করা হয়নি। আর এ চার্জ সম্পর্কে ব্যাংক আমাকে অবহিতও করেনি। এ কারণে সিআইবি রিপোর্টে ঋণখেলাপি আসছে। ক্রেডিট কার্ড বাবদ পাওনা আমি ইতোমধ্যে পরিশোধ করে দিয়েছি।’

জানা গেছে, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে মোট ছয়জন পরিচালক রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন পরিচালক ও তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি থেকে মুক্ত।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০