শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্যাংক ও নন-ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলোর (এনবিএফসি) ক্রেডিট ইনফরমেশন রিপোর্টে (সিআইআর) অ্যাকসেসের সময় গ্রাহককে মেসেজ অথবা ইমেইলের মাধ্যমে তা ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানিগুলোকে (সিআইসি) দিতে বলল রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
সূত্রমতে, ব্যাংক ও এনবিএফসি-সহ ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ক্রেডিট ডিফল্ট অথবা ডেজ পাস্ট ডিউ (ডিপিডি) সংক্রান্ত তথ্য ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানিগুলোর কাছে জমা দেবে এবং একই সঙ্গে গ্রাহকদেরও এসএমএস অথবা ইমেইলের মাধ্যমে এবার থেকে বিষয়টি জানাবে।
এছাড়া আরবিআই ঋণদানকারী সংস্থাগুলোকে মোবাইল ফোন নম্বর অথবা ইমেইল আইডির তথ্য জমা দেয়ার সুবিধা সম্পর্কে গ্রাহকদের ওয়াকিবহালের জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের পরামর্শ দিয়েছে।
আরবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঋণদানকারী সংস্থাগুলো গ্রাহকদের তথ্য সংশোধনের জন্য তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের কারণও জানাবে। ফলে এ ধরনের গ্রাহকরা সিআইআরের সমস্যাগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের কারণগুলোর একটি তালিকা সিআইসিগুলোর মাধ্যমে ঋণদানকারীদের কাছে পাঠানো হবে।
আরবিআই জানিয়েছে, ক্রেডিট কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই বিনা খরচে ক্রেডিট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে ক্রেডিট স্কোর থাকতে হবে। পাশাপাশি বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) একবার তাদের ওয়েবসাইটে ক্রেডিট ইতিহাসের লিংক স্পষ্টভাবে দেখাতে হবে, যাতে গ্রাহকরা সহজে তাদের ক্রেডিট রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে পারেন।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক এইচডিএফসি ব্যাংকের ওয়েবসাইট অনুসারে ক্রেডিট স্কোর পাওয়ার জন্য একজন গ্রাহককে কয়েকটি ধাপ পেরোনোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ট্রান্স ইউনিয়ন সিবিল লিমিটেড নামের একটি ক্রেডিট তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে তথ্য পূরণের কথা বলা হয়েছে। এই সংস্থার অধীনে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ব্যক্তি এবং ৩২ মিলিয়ন বা তিন কোটি ২০ লাখ ব্যবসার ক্রেডিট ফাইল রয়েছে। প্রসঙ্গত, ট্রান্স ইউনিয়ন ভারতে পরিচালিত চারটি ক্রেডিট ব্যুরোর একটি এবং এটি আমেরিকান বহুজাতিক গ্রুপ ট্রান্স ইউনিয়নের অংশ। এখানেই গ্রাহককে নাম, মোবাইল ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য ফর্মে লিখতে হবে।