Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 2:53 am

ক্রেতা কমে আসায় টানা নেতিবাচক পুঁজিবাজার

শেখ আবু তালেব: দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর খাতওয়ারি ২১টি শ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে পাট, ভ্রমণ ও আইটি খাতের বিনিয়োগকারী ছাড়া বাকি সবাই লোকসান দেখতে পেয়েছে। লোকসানের শীর্ষে ছিল সেবা খাতের কোম্পানির শেয়ারদর। আগের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও নেতিবাচক ধারায় লেনদেন শেষ করে পুঁজিবাজার।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে নেতিবাচক ছিল পুঁজিবাজার। ব্যাংক খাতও ছিল নেতিবাচক ধারায়। সেই প্রবণতা থেকে গত সপ্তাহেও বের হতে পারেনি ডিএসই। তবে আগের চেয়ে লোকসান কিছুটা কম দিয়েছে ব্যাংক খাত। আর প্রায় সব খাতের শেয়ারদর কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে লেনদেনে। বিক্রয় চাপ দেখা দেওয়ায় সূচক কমেছে সবগুলোর।

বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারে নতুন অর্থ প্রবেশ হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অধিকাংশই লোকসানে রয়েছেন। ফলে নতুন করে কেউ বিনিয়োগ করছেন না। এই তথ্য বাজারের মোটামুটি সবাই জানেন। পরে ক্রেতা পাওয়া যাবে না এমন শঙ্কায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার তেমন কিনছেন না। এতে কমে এসেছে লেনদেন।

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬০টি কোম্পানি ও সিকিউরিটিজ লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। সপ্তাহ শেষে শেয়ার ও ইউনিটদর বৃদ্ধি পায় ৯৭টির, কমে যায় ২৩৭টির, দর অপরিবর্তিত থাকে ২৪টির ও লেনদেন হয়নি দুটির।

খাতভিত্তিক গেইনার ও লোকসান চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক চার শতাংশ গেইন করেছে পাট খাতের শেয়ার। এছাড়া ভ্রমণ খাত এক দশমিক আট শতাংশ ও আইটি খাত শূন্য দশমিক তিন শতাংশ গেইন করে। বাকি সব খাতই লোকসান গুনে। এর মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড শূন্য দশমিক আট শতাংশ, জ্ব¡ালানি ও বিদ্যুৎ খাত তিন দশমিক তিন শতাংশ, টেলিকম খাত তিন দশমিক ৯ শতাংশ, ট্যানারি খাত এক দশমিক পাঁচ শতাংশ, ওষুধ খাত এক দশমিক চার শতাংশ, সাধারণ বিমা খাত দুই দশমিক দুই শতাংশ লোকসান গুনে। ব্যাংক খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান দেখতে পান এক দশমিক এক শতাংশ। এই সময়ে লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ওষুধ খাত।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে শেয়ারদর বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০টিতে নাম লিখিয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। এরপরই রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এছাড়া তালিকায় রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট

অ্যান্ড স্পা, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, ম্যাকসনস

স্পিনিং মিলস, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।

অন্যদিকে লোকসানের শীর্ষে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। লোকসানের তালিকায় আরও রয়েছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস, রানার অটোমোবাইলস, আমান ফিড, এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, আফতাব অটোমোবাইলস, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, এমএল ডায়িং ও সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট।