হাসানুজ্জামান পিয়াস: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে প্রধান সূচক ২৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি কমে যেতে দেখা যায় লেনদেন হওয়া ৬১ দশমিক ৪১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। দর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুর পর পরই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি ছিল। এ সময় প্রায় ১০ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। এর জের ধরে শেয়ারদর কমতে থাকে। গেল সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা যায়। এরপর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাজারে কিছুটা উত্থান হলেও গতকাল বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে। এ কারণে তৈরি হয়েছে বিক্রয় চাপ।
এদিকে গতকালের মোট লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল আর্থিক খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। খাতটি লেনদেনে ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ অবদান রাখে। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। এটি মোট লেনদেনে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ অবদান রাখে। এছাড়া মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে দেখা যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৫৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল প্রায় ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৩টি শেয়ার ৬৯ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটি ৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের।