Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 9:11 pm

ক্লাব দেখভালে যুক্ত হতে চায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: খেলাধুলাভিত্তিক ক্লাবগুলোর কার্যক্রম তদারকিতে বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গতকাল সচিবালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে ক্রীড়া আয়োজন নিয়ে এক সভার পর ক্রীড়া কার্যক্রমে স্থবির রাজধানীর নামিদামি ক্রীড়া ক্লাবগুলোয় অবৈধ জুয়ার আয়োজনের পর সেগুলোকে মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ কথা বলেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান বলেন, ‘ক্যাসিনোর ঘটনায় ক্রীড়াঙ্গনের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এগুলো বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় তার কিছু করার নেই। আইন অনুযায়ী, তার মন্ত্রণালয় জবাবদিহিতা চাইতেও পারে না। আমরা তাদের দুর্নামের ভাগ নেব কিন্তু জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারব না এটা হতে পারে না। ক্রীড়া ক্লাবগুলো যেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়, এটা আমি আমার পক্ষ থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল ক্লাব এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। একে একে মতিঝিলের ১২টি ক্লাবের মধ্যে আটটি ক্লাবে জুয়া খেলার সামগ্রী পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই ক্লাবগুলোর পরিচয় খেলাধুলাকে দিয়েই। এখানে স্পোর্টস জড়িত হলেও আমরা তাদের (ক্লাবগুলো) কাছে জবাবদিহি চাইতে পারব না এটা হতে পারে না। আমরা মনে করি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যেই তাদের রেজিস্ট্রেশন দিক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও তাদের দেখভাল করতে পারবে এমন একটা ‘ক্লজ’ (ধারা) আইনে যুক্ত করা উচিত। তখন ফেডারেশনকে যেভাবে আমরা সহযোগিতা করি, ক্লাবগুলোকেও সেভাবে সহযোগিতা করতে পারব।”
উল্লেখ্য, দেশের স্পোর্টস ফেডারেশনগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও ক্লাবগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সে জন্য তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও তাদের ক্রীড়া কার্যক্রমে এই মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই ক্লাবগুলোর কাজ তদারকিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে আইনগতভাবে রাখার সময় এসেছে বলে মনে করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।