ক্রীড়া ডেস্ক : ১৪ বছর আগে ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোর কাছে ক্লাব বিশ্বকাপ হেরেছিল লিভারপুল। তাই গত পরশু দেশটির আরেক ক্লাব ফ্লামেঙ্গো এ টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রতিপক্ষ হলেও হিসাবটা ঠিকঠাক চুকিয়ে নিতেই মাঠে নেমেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু শুরু থেকে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিট পর্যন্ত কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে অল রেডরা। যদিও গোল হজম করেনি ইংল্যান্ডের দলটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে এক পর্যায়ে রবার্তো ফিরমিনো প্রতিপক্ষের জালমুখ খুলে আনন্দে মাতান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত তার নৈপুণ্যেই ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে তোলে লিভারপুল। এর ফলে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর লিভারপুল দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে মালিক হলো এ শিরোপার।
দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত পরশু ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ফ্লামেঙ্গো-লিভারপুলের মধ্যে। যদিও ফ্লামেঙ্গোকে চেপে ধরেই ম্যাচের শুরুটা করেছিল লিভারপুল। কিন্তু বেশ কিছু ভালো সুযোগ তারা হাতছাড়া করে। প্রথম ১০ মিনিটেই অন্তত তিনবার গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল সালাহ-ফিরমিনো-মানেরা। কিন্তু একটিও গোলে পরিণত করতে পারেনি ক্লপের আক্রমণে থাকা এই ত্রয়ী। হেন্ডারসনের বাড়ানো বল চিপ করে জালে জড়াতে চেয়েছিলেন ফিরমিনো। সেটা গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই লিভারপুলকে চেপে ধরে ফ্লামেঙ্গো। খেলার শেষদিকে দেখা যায় বলের দখলে লিভারপুলের চেয়ে তারাই এগিয়ে।
বিরতির পর আরও জমে ওঠে ফ্লামেঙ্গো-লিভারপুলের মধ্যকার লড়াই। কিন্তু সুযোগ তৈরি করেও কোনো দল পায়নি গোলের দেখা। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি সময়ে একটি সুযোগ এসেছিল লিভারপুলের সামনে। শুরুতে সাদিও মানে ফাউলের শিকার হলে রেফারি দেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিদ্ধান্তে সন্দেহ থাকায় রেফারি তিন মিনিট ভিএআর-এর সাহায্য নেন। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি-বঞ্চিত হয় লিভারপুল! কারণ, ট্যাকলেও কোনো সমস্যা দেখেননি রেফারি।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে তাই কোনো দলই পারেনি গোল করতে। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ অর্ধে ৯৯তম মিনিটে গোলমুখ খোলেন লিভারপুলের ফিরমিনো। মানের বাড়ানো বল ধরে ফাঁকা জালে জড়িয়ে দেন ফিরমিনো। খানিক বাদেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু মিসরীয় এই ফরোয়ার্ডকে গোলবঞ্চিত করেন ফ্লামেঙ্গো গোলরক্ষক আলভেস। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে অবশ্য সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিলিয়ান জায়ান্টরা। কিন্তু পারেনি। যে কারণে ক্লাব ফুটবলের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে লিভারপুল।
মন্তব্য