Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:21 pm

ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ৯০ শতাংশ ব্যবহার কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত একটি অ্যাকশন প্ল্যান নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও

জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ২০২১ সালে এ-সংক্রান্ত বিধিমালা ছাড়াও ‘ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য বিধিমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যরে পুনর্ব্যবহার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা এবং একই সময়ে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেও কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব-পচনশীল বস্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তৃতীয় জাতীয় পলিসির লক্ষ্য হলো উš§ুক্ত জমি, নদী, নালা, খাল ও সমভূমিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা এবং উৎসে বর্জ্যরে বাধ্যতামূলক পৃথক্করণের মাধ্যমে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলোর জন্য একটি বাজার তৈরি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে কঠিন বর্জ্য-সংক্রান্ত সমস্যার টেকসই সমাধান অর্জন করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব।

অনুষ্ঠানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিধানাবলি ও এ-সংক্রান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন দেশের মডেল ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন ওয়েস্ট কনসার্নের নির্বাহী পরিচালক আবু হাসানাত মো. মাকসুদ সিনহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।