Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:10 pm

খনিজ তেলের উৎপাদন বেড়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের চিন্তক প্রতিষ্ঠান কার্বন ট্র্যাকারের সমীক্ষা বলছে, ইউরোপ ও আমেরিকার শীর্ষ তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদন কমায়নি। বরং নতুন তেলের খনির সন্ধান চালাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। সৌদি আরব, ব্রাজিলসহ বিশ্বের প্রথম সারির ২৫টি সংস্থাকে নিয়ে এই সমীক্ষা হয়েছে। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি সংস্থার অবস্থাই এক। খবর: ডয়চে ভেলে।

২০১৫ সালে ফ্রান্সে পরিবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই প্যারিস কনভেনশনে বিশ্বের অনেক দেশ স্বাক্ষর করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, তাপমাত্রার বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা হবে। এর জন্য নেট জিরো বা কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।

আরও বলা হয়েছিল, ক্রমেই ফসিল ফুয়েল বা খনিজ তেল এবং এবং গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প শক্তির উৎসগুলোয় নজর দেয়া হবে। অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ঘটছে না বলে জানায় কার্বন ট্র্যাকার।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাগুলো মুখে বলছে, তারা প্যারিস কনভেনশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন তাদের কাজে দেখা যাচ্ছে না। বিকল্প শক্তির কথা ভেবে নতুন কোনো প্রকল্পে এখনও হাত দেয়নি এই সংস্থাগুলো।

যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম বা বিপি এখনও তাদের উৎপাদন আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছে। ছয়টি মহাদেশে এখনও নতুন তেলের খনি অনুসন্ধান ও উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে বিপি। অথচ সংস্থাটি পরিবেশ সচেতনতার তালিকায় সবার ওপরে। গ্রেড ‘ডি’ পেয়ে তাদের স্থান সবার ওপরে। তবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিপি তাদের উৎপাদন বন্ধ করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে স্পেনের রেপসোল, নরওয়ের ইকুইনোর ও যুক্তরাজ্যের শেল তাদের উৎপাদন কমানোর চেষ্টা করছে। ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেসাপিক উৎপাদন কমানোর কথা বললেও তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট নয়।

তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সৌদি আরব, ব্রাজিল ও একাধিক মার্কিন সংস্থার। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পরিবেশ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট ভাবনাই নেই।

ইতালির ইএনআই সংস্থাটি একমাত্র কোম্পানি, যারা প্যারিস চুক্তির কথা মাথায় রেখে নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এই সংস্থাটি দাবি করছে, তারা শিগগির বিকল্প শক্তির সূচনা করে কার্বন নিঃসরণ কমাবে।