প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ নিলাম বর্ষের চতুর্থ চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৩০ দশমিক ৬০ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি ৫৮ লাখ ৮২ হাজার ৬৫০ টাকা। গতকাল বুধবার শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী অফিস জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীমঙ্গলের পাঁচটি ব্রোকারস হাউস ও চট্টগ্রামের সাতটি ব্রোকারস হাউস মিলিয়ে প্রায় ৫০ বায়ার নিলামে অংশগ্রহণ করেন। তবে আজ চতুর্থ নিলামে ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি ছিল।
নিলামে মোমিন ছড়া চা বাগানের ব্ল্যাক টি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২২৫ টাকা এবং কেদারপুরের ব্ল্যাক টি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩২৫ টাকা দামে নিলাম ওঠে। তাছাড়া সাবারি টি প্ল্যান্টেশনের গ্রিনটি প্রতি কেজি এক হাজার ১৮০ টাকা দামে নিলাম উঠেছে। এর আগে গত ২০২২-২৩ নিলাম বর্ষের তৃতীয় চা নিলামে ৭৪ হাজার ৩৮০ দশমিক ৪০ কেজি চা পাতা নিলামে
উঠলেও বিক্রি হয় ২৪ হাজার ৭৯৭ দশমিক ৬০ কেজি, যার মূল্য ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৪ টাকা। গড় বিক্রয় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৮৩ দশমিক ২৩ টাকা।
জালালাবাদ টি ব্রোকার্সের পরিচালক সৈকত আলী খান শেয়ার বিজকে জানান, ‘আজকের তৃতীয় চা নিলামে শ্রীমঙ্গলের পাঁচটি এবং চট্টগ্রামের সাতটি ব্রোকারস হাউস অংশগ্রহণ করছে। নিলামে প্রায় এক লাখ ৮৩ হাজারের ওপরে চা অপারিং হয়।’
শ্রীমঙ্গল চা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চেরাগ আলি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আজ নিলামে ৬০ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। দাম চট্টগ্রামের চেয়ে
শ্রীমঙ্গলের চায়ের দাম একটু বেশি। কেজিতে চট্টগ্রাম থেকে ২০-২৫ টাকা বেশি।’
শ্রীমঙ্গল পদ্মা টি সাপ্লাইয়ের স্বত্বাধিকারী মেঘনাদ হাজরা শেয়ার বিজকে বলেন, ‘খরার কারণে চা উৎপাদন বেশ কমে গেছে। যদিও কোয়ালিটি একটু খারাপ হয়েছে, কিন্তু দামটা একটু বেশি। কেজিতে ১৫-২০ টাকার মতো বেড়েছে। সে হিসাবে চায়ের গুণগত মান তেমন ভালো নয়।’
এদিকে বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩টি চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৮টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে পাঁচটি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহের মাঝে শুধু বুধবার ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নিলামের মাধ্যমে চা কেনাবেচা করা হবে।’
