খাতভিত্তিক লেনদেন থেকে বের হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: করোনাকালে প্রথম থেকেই খাতভিত্তিক লেনদেনে নজর দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পুরোটা সময়জুড়েই দেখা গেছে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন খাতের আধিপত্য। সম্প্রতি কয়েকদিন কোম্পানিভিত্তিক লেনদেনে ফিরে এলেও তা স্থায়ী হয়নি। বিনিয়োগকারীরা আবারও ফিরে গেছেন খাতভিত্তিক লেনদেনে।

সম্প্রতি আলোচনায় রয়েছে বিমা এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাত। টানা দর বৃদ্ধির পর কিছুদিন এই দুই খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে কিছুটা ভাটা লক্ষ করা যায়। কিন্তু আবারও এই দুই খাতে ফিরে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে সম্প্রতি এ দুই খাতের আধিপত্য দেখা যায়। গতকালও এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।

গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর মোট লেনদেন আবারও ৪০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয় বিমা খাত। এদিন সকাল থেকেই এ খাতের আধিপত্য দেখা যায়। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকার কারণে বৃদ্ধি পায় খাতটির অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দাঁড়ায় ৪১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড। বিমার পরেই এ ফান্ডের ইউনিটে চোখ ছিল বিনিয়োগকারীদের। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল প্রায় ১৮ শতাংশ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৬০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ২২ কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৬৫টি শেয়ার ৫২ বার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।

এছাড়া গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু’র ৩৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২২ লাখ ৫ হাজার টাকার, সিএসপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ২৩ হাজার টাকার, আমান কটনের ৬ লাখ ১২ হাজার টাকার, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ইউনিট ও শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০