মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: পুঁজিবাজারে ক্রমেই খাতভিত্তিক লেনদেন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আগে মোট লেনদেনে দুই থেকে তিনটি খাতের এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান দেখা গেলেও সম্প্রতি তা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট খাত ছেড়ে বিভিন্ন খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন। মূলত সে কারণে বাড়ছে খাতভিত্তিক লেনদেন। গতকালের বাজারচিত্রেও তেমনটি দেখা গেছে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট লেনদেনে এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে পাঁচটি খাত। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এটি মোট লেনদেনে ১৮ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটি মোট লেনদেনে ১৫ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। একইভাবে ১১ শতাংশ অবদান রেখে লেনদেন তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এছাড়া গতকালের মোট লেনদেনে প্রকৌশল খাত এবং ব্যাংক খাত ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট কমে স্থির হয় সাত হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে। একইভাবে কমে যায় লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ২৫৯টির দর কমে, ৯৭টির দর বাড়ে এবং ২০টির দর অপরিবর্তিত থাকে। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর লেনদেন আগের চেয়ে কমে যেতে দেখা যায়। দিন শেষে এখানে মোট এক হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৬ কোটি টাকার বেশি। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৪টি কোম্পানি অংশ নেয়।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ২৩ লাখ ২২ হাজার ৯০১টি শেয়ার ৫০ বার হাত বদলের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ তিন কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা শাইনপুকুর সিরামিকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের।