নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি আদায় বেড়েছে ১০ টাকা, রসুনে বেড়েছে পাঁচ টাকা আর পেঁয়াজে বেড়েছে দুই টাকা। অপরদিকে মসলার বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি চায়না আদার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চায়না আদা ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এটি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। একই বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। আদা-রসুনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ২৬ টাকা।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার মেসার্স মায়ের দোয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজে দুই থেকে চার টাকা, রসুনে পাঁচ টাকা ও আদায় ১০ টাকা বেড়েছে। তবে তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা নেই। এর পরও সামান্য সমস্যা হচ্ছে। আশা করি ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে সপ্তাহের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
অপরদিকে মসলার বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। গত এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কোনো পণ্যে দাম বৃদ্ধি পায়নি বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। খাতুনগঞ্জ বাজারে এলাচি বিক্রি হচ্ছে বড় এক হাজার ৮৫০ টাকা, মাঝারি এক হাজার ৭০০ টাকা ও ছোট এক হাজার ৬০০ টাকায়। জিরা বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান ৩৩০ টাকা আর সিরিয়ারটা ৪০০ টাকায়। ধনে নতুন ১১৫ টাকা ও পুরোনো ১০০ টাকায়। হলুদ দেশি ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১১৫ টাকায়। লং বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। গোলমরিচ ৫৫০ টাকা, কালোজিরা ১৭০, সরিষা ৬৫, দারুচিনি ২৮০, যাত্রিক এক হাজার ৭২০ টাকা, জয়ফল ৪৪০ ও তেজপাতা ৭০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ বাজারে পাইকারি মসলা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, গত দুই মাসের মধ্যে তেমন কোনো মসলায় দাম বাড়েনি। দু-একটি পণ্য ছাড়া প্রায় সব মসলা আগের দামে আছে। এক থেকে দেড় মাস আগে শুধু জিরায় ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং এলাচিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাম বেড়েছিল আর বাকিগুলো স্বাভাবিক আছে।
চট্টগ্রামের একাধিক কাঁচাবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় আগের দামেই আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বাজারে বিভিন্ন দোকানভেদে কেজিপ্রতি চায়না রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ এবং দেশি রসুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।