Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:49 pm

খাদ্যদ্রব্যের অবৈধ মজুতে পাঁচ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যদ্রব্যের অবৈধ মজুতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ খসড়া খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। দুটি আইন একসঙ্গে করে নতুন খসড়া আনা হয়েছে। ‘দ্য ফুড গ্রেইন সাপ্লাই প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৯’ এবং ‘ফুড স্পেশাল কোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ দুটো আইনকে একসঙ্গে করে নতুন আইন করা হচ্ছে।

এ আইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ করা যাবে। এর মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না, বরং মান নিশ্চিত করা হবে। কেউ যাতে অনৈতিক কাজ করতে না পারে, ক্রেতারা যাতে ঠকে না যান, সে ব্যবস্থা করা হবে।

খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন এবং এ-সংক্রান্ত অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ যাতে না হয় সেগুলো প্রতিরোধ করা করার জন্য এ খসড়া আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেউ যদি এই আইনের অধীনে অপরাধ করে, তবে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। কেউ যদি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিকর কিছু মিশিয়ে উৎপাদন করে, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মজুত করে, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে জানান তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বলে দিয়েছে, নিরাপদ খাদ্য আদালতই এগুলো দেখবেন, আলাদা কোনো আদালত লাগবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টেও বিচার করা যাবে।

তিনি বলেন, আরেকটি সুন্দর জিনিস করা হয়েছে। কোনো খাদ্যদ্রব্য যদি জব্দ করা হয়, সেই খাদ্য যদি পচনশীল হয়, তবে সেই খাদ্যদ্রব্য নিলাম ডেকে বিক্রি করে শুধু স্যাম্পল হিসেবে অল্প একটু রাখা যাবে। খাদ্যপণ্য যদি পচনশীল নাও হয়, তবুও ৪৫ দিনের মধ্যে নিলাম করে দিতে হবে, টাকাটা কোর্টের কাছে থাকবে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যদি খালাস পান, তবে টাকাটা তিনি পেয়ে যাবেন। আর দণ্ড পেলে আদালত যেভাবে আদেশ দেবেন, সেভাবে হবে।