শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জাপান চ্যালেঞ্জে রয়েছে বলে মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭-এর কৃষিমন্ত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা। খবর: জাপান টুডে।
কৃষিতে জাপানের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বিশ্বে সুবিদিত। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘস্থায়ী সম্পদের অভাব, কর্মক্ষম জনসংখ্যার হ্রাস, কৃষিনীতি সংশোধন এবং চাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের অনীহা এবং এমনকি খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে। এছাড়া দেশটি আমদানির ওপর নির্ভরশীল। উপরন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জাপানের খাদ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা আরও বেড়েছে।
যদিও গত মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের মিয়াজাকিতে জি৭-এর কৃষিমন্ত্রীদের বৈঠকে আয়োজক দেশ হিসেবে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছে জাপান।
কৃষি নীতি সংশোধন সম্পর্কে কৃষি উন্নয়নের পরামর্শদাতা ইউসাকু ইয়োশিকাওয়া বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জৈব চাষের জন্য ১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৪০ গুণ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল বাস্তবসম্মতভাবে অর্জন করা কঠিন।
তিনি বলেন, জৈব চাষ শুধু প্রাকৃতিক পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। সেখানে জাপান প্রায় সম্পূর্ণরূপে রাসায়নিক সারের উপকরণের ওপর নির্ভরশীল। ইয়োশিকাওয়া বলেছেন, সার ও জৈব চাষে উৎপাদনের ভিত্তি হলো গবাদি পশু। পাশাপাশি দেশের টেকসই কৃষির ধারণাগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন ইয়োশিকাওয়া।
জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, সরকারের কৌশল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ হ্রাস পাচ্ছে। ২০২০ সালে জাপানে ১ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন খামারকর্মী ছিলের, যা ২০০৫ সালের চেয়ে ৩৯ শতাংশ কম।
টোকিওর গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নোবুহিরো সুজুকির আশঙ্কা, তাইওয়ানের সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট বন্ধ হলে জাপান খাদ্য ও কৃষি উপকরণগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।