নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরবাসী যাতে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য পেতে পারেন সেজন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকি। এ কার্যক্রমের নেতৃত্বে আমাদের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাছাড়া নগরীর অধিবাসীদের ছাদ বাগান করতে উৎসাহী করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের মালিরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকেন।
গতকাল সকালে করপোরেশনের টাইগারপাসস্থ অফিসের সম্মেলন কক্ষে খানি, ক্যাব ও আইএসডিইর আয়োজনে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও নগরে কৃষির সম্ভাবনা’ নিয়ে বিভাগীয় পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নগরে কৃষি সম্ভাবনা নিয়ে আমরা শুধু আলোচনায় থাকলে হবে না। বাস্তবে প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোতে হবে। তিনি বলেন, নগরীতে কৃষির সম্ভাবনা হারিয়ে যায়নি। আমরা নগর কৃষিকে উৎসাহ জোগাতে নগরবাসীকে ছাদ বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করছি। তবে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করবেন। ছাদ বাগান করলে নিয়মিত বাগান পরিষ্কার রাখবেন, নতুবা ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ এবং উপদ্রব দেখা দিতে পারে। তবে ছাদ বাগান করলে ঢাকা উত্তরের মতো পৌরকর কমানোর প্রস্তাবে আমার পক্ষে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। কারণ এটা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের। এছাড়া গত ১১ বছর ধরে চসিক কোনো ধরনের পৌরকর বাড়ায়নি। তবে ছাদবাগান করতে যত ধরনের সহযোগিতা লাগে তা করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। বক্তব্য দেন চসিক প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, প্রবীণ সাংবাদিক এম. নাসিরুল হক, সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক ডা. মো. রেয়াজুল হক, চট্টগ্রাম নগর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুমানা আকতার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম হারুনুর রশীদ প্রমুখ।