Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 6:19 pm

খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত মাসে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। জুলাইয়ে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশ অনেকটা বেড়ে গেল। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই চিত্র পাওয়া গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই হারের অর্থ হলো খাদ্যপণ্য কিনতে দেশের মানুষকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ যে খাদ্যপণ্য কিনতে আগে ১০০ টাকা খরচ হতো, সেই একই পরিমাণ পণ্য কিনতে জুলাই মাসে ১১৪ দশমিক ১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।

অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ে এ হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জুনে যা ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুটোই বাড়ার কারণে জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের অভিযোগ, বিবিএস যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাতে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত চিত্র ওঠে আসে না। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিবিএস এ-ই প্রথম মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করল, যাতে দেখা যাচ্ছে দেশে মূল্যস্ফীতি আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই বাজারের জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।