নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ৯ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০৪ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর ৯৭ টাকা থেকে ১০৪ টাকা ২০ হাতবদল হয়। ওইদিন তিন লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯টি শেয়ার মোট ৭৪৫ বার হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রিজার্ভে রয়েছে ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬১ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২ পয়সা। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮২ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৯৪ পয়সা।
আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৫৭ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়
(ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।