দেহ চায় নিয়ম। একে সুন্দর কিছু নিয়মে বেঁধে রাখলে নিশ্চিন্ত থাকা যায় সব সময়। খালিপেটে জল পান এমনি একটি স্বাস্থ্যকর নিয়ম। নির্বিষ ও ঝামেলাবিহীন এই পথ্য ভাল রাখে দেহমন। এর কয়েকটি উপকারিতা দেখে নিন
1.পানি বা জল যে নামেই ডাকি না কেন, এটি ক্যালোরি মুক্ত
- খালি পেটে পানি পানের নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। একটি সু-অভ্যাস। সুস্বাস্থ্যে এর ব্যাপক ভ‚মিকা রয়েছে
- শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য কমবেশি জটিল আকার নেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি পানের অভ্যাস করুন, শীতকালটা আরামে কাটবে
- আমাদের শরীরেও পানির উপস্থিতি অনেক। যতটুক সয় দেহ ততটুকু পান করুন
- সকালে কিছু নিয়ম মেনে খালিপেটে পানি পান করা যেতে পারে। যেমন দাঁত ব্রাশ করার আগে দুই থেকে তিন গøাস কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে। একগøাস পানির পরিমাণ হবে ১৬০ মিলিলিটার। আজ এক গøাস তো কাল দুই গ্লাস, এভাবে ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকুন পানির পরিমাণ
- খালি পেটে পানি পানের ফলে সতেজ ও সুস্থ মনে হয় সারাদিনময়
- ডাক্তারদের মতে এই চর্চা খুবই স্বাস্থ্যসম্মত। শরীরিক অনেক সমস্যার সমাধান রয়েছে এর মধ্যে। যেমন হজমের সমস্যা কিংবা গ্যাস্ট্রিক দূর করতে মাত্র ১০ দিন খালিপেটে পানি পান করুন
- পুরনো ও মারাত্মক অসুখের পাশাপাশি নতুন কোনো অসুস্থতায় খালিপেটে জলপান মহৌষধ হিসেবে কাজ করে
- জাপানিজ মেডিকেল সোসাইটির পরীক্ষামতে শরীর ব্যথা, মাথা ধরা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, মৃগীরোগ, স্থূলতা, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, কিডনির সমস্যা, বমি, গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, পাইলস, ডায়াবেটিস, প্রস াবের রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, নাক, চোখ ও গলার রোগ, ঋতুস্রাব সমস্যায় খালি পেটে জলপান ভীষণ কার্যকর।
লিভস্ট্রং ও স্টেডিহেলথ অবলম্বনে