খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল। এক বার নয়, দুইবার বিদায় নিতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। আমি বলেছিলাম গ্যাস পাবে না। আল্লাহতায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নেই!

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর: বাসস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাস সময় পান। এর মধ্যেই দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতাবিরোধীরা ভাবতেও পারেনি। যারা বলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে, এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে, তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি। একটা দেশ এত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ ও হুদাকে সংসদ সদস্য বানাল; পার্লামেন্টে বিরোধী দলের নেতার আসন দিল। ফারুককেও চেষ্টা করেছিল নওগাঁ থেকে জিতিয়ে আনতে, সেটা পারেনি। খালেদা ঘোষণা দিল যে সে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। বেশি দিন ক্ষমতায় বসতে পারেনি, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হলো, ৩০ মার্চ জনগণের রুদ্ররোষে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করে বিদায় নিয়েছিল সে।

তিনি বলেন, মানুষ বিদেশে গেলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পায়। আর এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর দোসর যারা ছিল, এরাই তাদের প্রেতাত্মা হয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হত্যা করে যাচ্ছে। হত্যার পরিকল্পনা করছে।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বাস আছে, রেললাইন আছে; যেখানে এরকম (রেলপথ তুলে ফেলা) ঘটনা ঘটবে, সঙ্গে সঙ্গে যদি জনগণ মাঠে নামে তাহলে এরা হালে পানি পাবে না। এরা ধ্বংস করতে পারে, মানুষের জন্য সৃষ্টি করতে পারে না; এরা মানুষকে খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি নিরাপত্তা দিতে পারে না; এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষের জীবনটা উন্নত করতে পারে না। কাজেই তাদের কাছ থেকে সাবধান। আর কোথাও যদি এই ধরনের রেলের সিøপ তুলে ফেলে, আগুন দেয়; যখনই করতে যাবে সরাসরি তাদের ধরতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

রেল লাইন থেকে বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করে, এরা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে? হত্যাকারীরা কখনও গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করে, রেল লাইনের সিøপার তুলে ফেলে, এরা পরাজিত শক্তির দালাল; পরাজিত শক্তির দোসর। এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। শান্তিতে বাস করবে, উন্নত জীবন পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০