খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আগের শর্তেই আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

‘খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। আগের মতো এই দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।’

এর আগে গত ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফা তা বাড়ানোর আবেদন করে পরিবার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

কভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। গত জুনে ওই হাসপাতালেই খালেদা জিয়ার হƒৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়।

নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগে বলেছিলেন, শর্তসাপেক্ষে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তবে কারাগারে ফিরে আবেদন করলে সরকার তা বিবেচনা করতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০