নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট (স্বাস্থ্য প্রতিবেদন) সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ড. কনক কান্তি বড়ুয়া। তবে রিপোর্টটি পাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কোর্ট প্রশাসনের কেউই। আজ এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। রিপোর্টে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও সুপারিশ করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য ড. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা তানিয়া আজ (গতকাল) বিকাল সাড়ে ৩টার সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবে রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
গত ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট দাখিলের জন্য ১১ ডিসেম্বর এবং শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছানো হয়।
এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে মামলার কার্যক্রম আজ পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল আদালত।
