নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনটি যুক্তিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব যুক্তি হলো ১. এ মামলায় অপরাধের ধরন (রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করা), ২. আইনের যে ধারায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা ছিল ‘সর্বোচ্চ সাজা’ এবং ৩. চ্যারিটেবল মামলার আপিল শুনানির যাবতীয় নথি এরই মধ্যে হাইকোর্টে চলে আসায় তা (আপিলের) শুনানির জন্য প্রস্তুত। তাই এ মুহূর্তে জামিন দরকার নেই।
গতকাল বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজের আদেশে এসব যুক্তি তুলে ধরেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দীন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আমিনুল ইসলাম, রাগিব রউফ চৌধুরী, সগীর হোসেন লিয়ন ও একেএম এহসানুর রহমান। আর দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানিকালে স্থগিত করে মামলার যাবতীয় নথি দুই মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এরপর গত ২৮ জুলাই এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ
