খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী এ আদালত বসে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। দুই মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ (গতকাল)।

ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাফাই সাক্ষ্যের জন্য একই দিন ধার্য আছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী শুনানির দিনে খালেদা জিয়া অবশ্যই আদালতে হাজির হবেন। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে পঞ্চম দিনের মতো বক্তব্য তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ছয়জন ওই মামলার আসামি। অন্যদিকে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি খালেদা জিয়াসহ চারজন।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মোট ৩৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলো বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দায়ের করা হয়। বাকি মামলাগুলো গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা হয়েছে।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০