শেয়ার বিজ ডেস্ক: সৌদি আরবের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের মুখে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২১ সৌদি নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যাকাণ্ডকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যিনিই এই পরিকল্পনা করে থাকুন, তাকে ‘বড় ধরনের বিপদে’ পড়তে হবে।
২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাসোগি। গত শুক্রবার মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো তার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে রিয়াদের দাবি, খাসোগিকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। খাসোগি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। গত রোববার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর দাবি করেন, ‘নীতিবিবর্জিত এ অভিযানের’ ব্যাপারে সৌদি নেতৃত্ব জানত না। তবে সৌদি আরবের এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না আন্তর্জাতিক বিশ্ব। অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শুরুতে নমনীয় থাকলেও এরই মধ্যে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের জঘন্যতম গুম বলে আখ্যা দেন তিনি। একই দিনে সৌদি যুবরাজের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে একমত হয়েছেন ট্রাম্প।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ২১ সৌদি নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানান। তিনি জানান, এদের মধ্যে যাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা রয়েছে, তাদের ভিসা ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।
খাসোগি হত্যায় ২১ সৌদি নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
