প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনার গল্লামারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে গতকাল সোমবার সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের (এসসিএমএফপি) আওতায় গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ ও কলাকৌশল অবহিতকরণের বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম সাগর ও উপকূলের জলসম্পদ আহরণের পরিকল্পনা করেন। তিনি জানান, সরকার সমুদ্রের মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ ও মজুতের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের জিডিপিতে মৎস্য সেক্টেরের অবদান অনেক। তিনি বলেন, এখনও মাছ ধরতে ক্ষতিকর বিষ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মৎস্য দপ্তরকে নজরদারি বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হলো উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের মজুত নিরূপণ, সংরক্ষণ, সঠিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই আহরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিংড়ি ক্লাস্টার উন্নয়ন এবং উপকূলীয় প্রান্তিক জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন করা।
এ প্রকল্পটি খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ জেলার ৭৫টি উপজেলার ৭৫০টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে ২৯টি ইউনিয়নে প্রকল্প চলমান, যার মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হবে।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট খুলনার উপপ্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ধ্রুব অ্যাডভার্টাইজিংয়ের টিম লিডার ড. অলিউর রহমান। কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।