Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:32 am

খুলনার গণপরিবহন বন্ধ করিয়েছে সরকার: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনায় বিএনপির সমাবেশ যাতে সফল না হয়, সেজন্য সরকার বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিবের অভিযোগ, কীভাবে অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন হচ্ছে, তা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করছেন, আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার কীভাবে ভয়ংকরভাবে কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, আর বিরোধী দলের সমাবেশকে বাধা দিচ্ছে। বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করেছে যেন সমাবেশ বড় না হয়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নেতাকর্মীদের ‘হত্যা’ ও ‘মিথ্যা’ মামলার প্রতিবাদে বিভাগীয় শহরগুলোয় ডাকা গণসমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় বিএনপির এ কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের যৌথ আলোচনা সভায় শুক্র ও শনিবার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, সমাবেশ বড় না হলে তাদের (সরকার) লাভটা কী হবে? তারা বলতে পারবেন যে, বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি। তাতে কী হবে? মানুষের অন্তরের মধ্যে যে ক্ষোভ জমে আছে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তা কি ওরা মুছে দিতে পারবে না? পারবে না।

ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির চলমান আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ‘গুলিতে’ নিহতদের স্মরণে ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন মির্জা ফখরুল। এটি প্রকাশ করেছে বিএনপি-সমর্থিত পেশাজীবীদের সংগঠন জিয়া পরিষদ।

নিহত কর্মীদের স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আর না। এখন সময় এসে গেছেÑযার যা শক্তি আছে সেটি দিয়ে সমস্ত দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলার। আজকে জিয়া পরিষদের দায়িত্ব হবে এ গণজাগরণের কাজটি করা। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের ‘আত্মত্যাগকে’ শক্তিতে পরিণত করে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, আমাদেরও রাস্তায় নেমে আসতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সোচ্চার কণ্ঠে বলতে হবে, তাদের আমরা চাই না, মানুষ চায় না। জাতির অস্তিত্ব থাকবে না।

অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত ভোলার আব্দুর রহিম, নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জের রাজা আহমেদ শাওন ও মুন্সীগঞ্জের শহিদুল ইসলাম শাওনের পরিবারের হাতে জিয়া পরিষদের আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন ফখরুল।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় জিয়া পরিষদের অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।