খুলনায় বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম

খুলনা ব্যুরো: খুলনায় শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করলেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। সবজির দাম যতটা কম হওয়ার কথা, ততটা কমেনি। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে। অধিক মুনাফার জন্য ডিলাররা তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। আর এরই প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারগুলোয়।

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন পুষ্টি (৫ লিটার) ৪৮৫, তীর ৪৮৫, ফ্রেশ ৪৮৫, মোস্তফা ৪৮৫ ও রূপচাঁদা ৪৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতি লিটার সয়াবিন পুষ্টি ৯৭, তীর ৯৭, ফ্রেশ ৯৭ ও রূপচাঁদা ৯৯ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগে বোতলজাত সয়াবিন পুষ্টি (৫ লিটার) ৪৬০ টাকা, তীর ৪৬৫ টাকা, ফ্রেশ ৪৬০ টাকা, মোস্তফা ৪৬০ টাকা ও রূপচাঁদা ৪৭০ টাকা দরে বিক্রি হয় এবং প্রতি লিটার সয়াবিন পুষ্টি ৯২, তীর ৯২, ফ্রেশ ৯২, মোস্তফা ৯২ ও রূপচাঁদা ৯৪ টাকায় বিক্রি হয়।

খুলনার সাতরাস্তা মোড়ে মিম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মচারী মো. আবদুল কাদের বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম

লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর পিটিআই মোড়ের মেসার্স রহমত স্টোরে খোঁজ নিলে একই অবস্থা জানা যায়। এছাড়া আরও কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খুলনার কেসিসি বাজারে আসা ক্রেতা মৎস্য ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পাল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তি। দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। বড়বাজারে আসা ক্রেতা জলিল মোল্যা বলেন, শাকসবজির দাম

কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ১২-১৩ দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

মহানগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা রণজিৎ কুমার দাস বলেন, সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি দাম বাড়ছে পাঁচ টাকা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো তদারকি নেই।

নগরীর কালীবাড়ি বাজারে তেল ডিলার মোহাম্মদ শরিফুল বলেন, কোম্পানি মালিকরা তেলের দাম কমালে দাম কমবে। দাম উঠানামা নির্ভর করে কোম্পানি মালিকদের ওপর।

খুলনার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকসবজির মূল্য অনেকটা কমতে শুরু করেছে। তবে যে তুলনায় কমার কথা ছিল, ততটা কমেনি। বিক্রেতারা বলেন, এ বছর শীত মৌসুমের আগে খুলনা অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় আগাম সবজি ফলাতে পারেননি কৃষক। তাই সবজি

আসতে দেরি হচ্ছে। এজন্য দামও কমছে না। তবে ক’দিনের মধ্যে সবজির দাম আরও কমবে।

বয়রা বাজারের ক্রেতা শারমিন জাহান বলেন, প্রতিবছর শীত আসার পর সবজির দাম যে হারে কমে, এবার তেমন কমেনি। তবে গত দু’সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৬০ টাকার শিম ৪০ টাকা, ৪০ টাকার ফুলকপি ২৫ টাকা, পাতাকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু বাজারে এসেছে, তবে দাম চড়া। খুচরো বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০