Print Date & Time : 1 July 2025 Tuesday 5:45 am

খুলনা পাওয়ারের সহযোগী কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগী কোম্পানি ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানাধীন কোম্পানি ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড। আর খুলনা পাওয়ারের এই সহযোগী কোম্পানিটি গত ১৮ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) অনুযায়ী আগামী ১৫ বছরের উৎপাদন চুক্তিতে উৎপাদন শুরু করেছে পায়রা পাওয়ার প্লান্ট। ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফওভিত্তিক ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্ট পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালী এলাকায় অবস্থিত।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দরও দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬১ টাকায় ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৭টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯৪৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। 

‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা।