Print Date & Time : 28 June 2025 Saturday 5:49 pm

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ঋণমান ‘বিবিবি’ ও ‘এসটি-৩’

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর)।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১১ হাজার ২৬২টি শেয়ার ১৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৫ সালের পর কোম্পানিটি আর কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে নেমে যায়। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর সর্বশেষ কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘জেড’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৩ পয়সা।

২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ কোটি দুই লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৮৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। আর তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৫ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১২ টাকা ৩৩ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই, ২০১৯-মার্চ, ২০২০) ইপিএস হয়েছে ৫২ পয়সা লোকসান, আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ৮০ পয়সা (লোকসান)।