বসন্তকাল শেষ হতে চলেছে। বাতাসে ধুলাবালু প্রচুর। এ সময় বাড়ে খুশকির প্রকোপ। খুশকির কারণে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও চুলকায়। চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনি তো বটেই, খুশকি থেকে রেহাই পায় না জামাকাপড় বা বালিশও।
খুশকি কেন হয়: মাথার স্কাল্পের মৃত কোষগুলো নিয়মিত হারেই ঝরে যায়। এগুলোই হলো খুশকি। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণে খুশকি বেশি হয়। বর্ষা মৌসুমেও খুশকির প্রবণতা দেখা যায়। বর্ষায় ফাঙ্গাশের সংক্রমণ বেশি হয়। বেশ কয়েক দিন চুল ধোয়া না হলে আর মাথার ত্বক ঘেমে থাকলে ফাঙ্গাশ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া নি¤œমানের পণ্য ব্যবহারে চুল হারায় উজ্জ্বলতা।
খুশকি চুলের কী ক্ষতি করে: খুশকি চুলের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। চুল পড়া, মাথার ত্বকে চুলকানি, অতিরিক্ত চুলকানির কারণে নখের আঁচড়ে মাথার ত্বকে সংক্রমণ প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় মাথার ত্বকে ব্রণের মতো হয়। শেষ পরিণতি চুল পড়ে যাওয়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
খুশকি রোধে করণীয়: খুশকি নিয়ন্ত্রণে ভালো মানের অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন।
কিছু ঘরোয়া সমাধান: খুশকি রোধে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে। প্রচুর ফলমূল খাবেন। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে যদি প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হয়, তবে তা-ই করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। শ্যাম্পু শেষে যেহেতু চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাই কন্ডিশনার বা সিরাম ব্যবহার করতে হবে। ঘরোয়াভাবে কিছু জিনিস মাথার ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। যেমন অলিভ অয়েলের সঙ্গে নিমের গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় মেখে ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজের রস ভালো করে মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পাঁচ চামচ পাতিলেবুর রস ও সঙ্গে একটুখানি অরেঞ্জ পিল পাউডার মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মাথার স্কাল্পে লাগান। তারপর সেটা আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ডা. জাহেদ পারভেজ
সহকারী অধ্যাপক, চর্ম বিভাগ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল