মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ার চাহিদা কমে গেছে। অন্যান্য খাতের তুলনায় এই খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম, যে কারণে দীর্ঘদিন থেকে মোট লেনদেনে এই খাতের অবস্থান নেমে যায় ১০ শতাংশের নিচে। কোনো কোনো দিন তা নেমে আসে পাঁচ শতাংশের নিচে। তবে দীর্ঘদিন পর গতকাল খোলস ছেড়ে বের হয়েছে এই খাতটি। অন্য খাত ছেড়ে এ খাতে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গতকাল বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত, যে কারণে লেনদেনের শুরু থেকেই এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিতে তুলনামূলকভাবে ক্রেতা বেশি ছিল, যার জের ধরে দিন শেষে বাড়তে দেখা গেছে ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। মোট লেনদেনেও বেশ এগিয়ে যায় খাতটি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১৪ শতাংশ।
এদিকে গত কয়েক দিনের মতো গতকালও মোট লেনদেনে কমে গেছে বিমা খাতের অংশগ্রহণ। গতকালও দিন শেষে কমেছে অধিকাংশ বিমা কোম্পানির শেয়ারদর। একইভাবে মোট লেনদেনে এই খাতটির অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। অন্যদিকে গতকালও বেশ ভালো অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে লেনদেন বেশি অবদান না থাকলেও ভালো অবস্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড। দর বৃদ্ধির কারণে গতকাল এই খাতের বিক্রেতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। আগামীতে দর আরও বাড়তে পারে এমন ভেবে ইউনিট বিক্রয় আদেশ প্রত্যাহার করে নেন অনেক বিনিয়োগকারী।
এদিকে গতকাল বেশিরভাগ শেয়ারদর বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা কমে যেতে দেখা যায়। ডিএসইতে গতকাল মোট ৭৯৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১১ কোটি টাকা। এই মার্কেটে গতকাল মোট ১৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমের। গতকাল ব্লক মার্কেটে এই প্রতিষ্ঠানটির মোট তিন কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী ছিল ডিএসইর সূচক। দিন শেষে ৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৯২৮ পয়েন্টে।