নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২১ জুলাই ডলারের দাম আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা, আগে যা ছিল ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা। তবে ঢাকার মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৪ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের ফলে অনেক রপ্তানিকারক তাঁদের রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটায় (ইআরকিউ) রাখা বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করছেন। ব্যাংকগুলো এই ডলার কিনে আমদানি দায় শোধ করছে। একইভাবে অনেক ব্যাংকও নিজেদের কাছে রাখা ডলারও বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাছে ইআরকিউর ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার জমা ছিল। বুধবার পর্যন্ত এর মধ্য থেকে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছেড়েছেন রপ্তানিকারকরা। সামনে আরও ডলার বিক্রি করতে হবে তাদের।
দেশে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে সার্বিকভাবে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও তা আমদানির মতো নয়। প্রবাসী আয়ও বাড়েনি, বরং তা কমেছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে বেড়ে গেছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির দাম।
মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে ও পরে ১০০ থেকে ১০২ টাকার মধ্যে ডলার কেনাবেচা হয়েছে। গতকাল তা ১০৩ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঈদের আগে ও পরে বাজারে ডলারের সরবরাহ ও চাহিদা ভালো ছিল। কারণ, এ সময় অনেকেই বিদেশ থেকে ঈদ করতে দেশে এসেছিলেন। ফলে সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। আবার অনেকে ঈদের ছুটিতে বিদেশে গেছেন। ফলে ডলারের চাহিদা ছিল বেশি।