প্রতিনিধি, বরিশাল: ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকা-ে মৃত ২৩ জনের দাফন সরকারিভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় বরগুনার পোটকাখালী গ্রামে খাকদোন নদীর তীরবর্তী গণকবরে এসব মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে চার মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে বরগুনা এসে পৌঁছায় ৩৭টি মরদেহ। এরপর রাতেই পাঁচটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা।
গতকাল শনিবার সকালে আরও তিনজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা। শনাক্ত করতে না পারা মরদেহগুলো জানাজার পর আরও দুজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা।
জানাজা শেষে ২৭ মরদেহ বরগুনার পোটকাখালী এলাকায় দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় আরও চারজনকে শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে ২১ কবরে শনাক্ত না হওয়া বাকি ২৩ মরদেহ দাফন করে প্রশাসন। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দুটি কবরে দুজন করে ২১ কবরে ২৩ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শনাক্ত না হওয়ায় ২৩টি মরদেহ সরকারিভাবে দাফন করা হয়েছে। পরেও কোনো স্বজন এসে যদি মরদেহ শনাক্ত করতে পারেন তবে তাদের কবর বুঝিয়ে দেয়া হবে।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, অগ্নিকা-ে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা।