শেয়ার বিজ: মুগাবে শাসনের অবসানের পর নতুন গণতন্ত্রের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের নতুন নেতা এমারসন ম্যানানগাগওয়া।
শুক্রবারই (২৪ নভেম্বর) তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম।
দেশে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি ধন্যবাদ দেন সেনাবাহিনীকে এবং সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপন শেষে বুধবার (২২ নভেম্বর) দেশে ফিরে রাজধানী হারারেতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেন এমারসন ম্যানানগাগওয়া। ।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সেবক হওয়ার অঙ্গীকার করছি। আমি সব দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। এখানে কেউই কারও চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই কাজ, কাজ এবং কাজ।”
মি. ম্যানানগাগওয়ার বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদর দপ্তরের সামনে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা।
ধারণা করা হয় দেশটির প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ কর্মহীন।
ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী নতুন এই নেতা আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন।
এমারসন ম্যানানগাগওয়াকে পদচ্যুত করেন মুগাবে। এর পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলে দেশে ফেরার আগে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাথে।