Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 8:31 pm

গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জ

মো. মাঈন উদ্দীন: জাতিসংঘের ৭৯ অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রদত্ত অনন্য ভাষণ বিশ্বনেতাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখতে পায় নতুন এক বাংলাদেশ। এ ভাষণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের যে পথ সৃষ্টি হয়, তার চিত্র বিশ্বদরবারে তুলে ধরেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘ মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আসে, যা বাংলাদেশের আগামীর পথ চলাকে সহজ করবে।

শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করে আমাদের গণমানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই মূল্যবোধকে বহু বছর পর আমাদের ‘জেনারেশন জি’ (প্রজš§ জি) নতুনভাবে দেখতে শিখিয়েছে। এ রকমটি আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময়েও। বাংলাদেশের এই অভ্যুত্থান আগামী দিনগুলোয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে মুক্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে প্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’ ছাত্র-জনতার অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তি এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত, যা বাংলাদেশকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মাঝে একটি দায়িত্বশীল জাতির মর্যাদায় উন্নীত করবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতের ভুলগুলোকে সংশোধন করে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।’ অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জনগণ দেখতে পায় বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার কীভাবে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, কীভাবে রাষ্ট্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মম দলীয়করণের আবর্তে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, কীভাবে জনগণের অর্থসম্পদকে নিদারুণভাবে লুটপাট করা হয়েছিল, কীভাবে একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সব ব্যবসা-বাণিজ্যকে অন্যায়ভাবে নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে দেশের সম্পদ অবাধে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেÑএককথায় প্রত্যেকটি পর্যায়ে ন্যায়, নীতি ও নৈতিকতা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ড. ইউনূস বাংলাদেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবে, ভয়ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবে, তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেÑএটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রাষ্ট্রব্যবস্থার সকল পর্যায়ে সুশাসন ফিরিয়ে আনাই আমাদের অভীষ্ট।’ ভাষণে ড. ইউনূস অবৈধ অর্থের প্রবাহ ও উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদের পাচার বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এজন্য তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে পাচার হয়ে যাওয়া সম্পদ ফেরত আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের কথা বলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণ প্রদানের আগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে অত্যন্ত হƒদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক বিরল। প্রথা ভেঙে এ বৈঠকে বাইডেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়ে বাংলাদেশের সংস্কারে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বৈঠকেও সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে বলে জানানো হয়। দীর্ঘ কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে পৌঁছে। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ভিন্নমত দমন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উত্তরণ ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম এএ খানের বৈঠকের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খোলার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এবার জাতিসংঘে আমাদের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকীও উদ্যাপন করা হয়। সেখানেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শীর্ষব্যক্তি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নেতারা এসেছিলেন।

কাজেই সেটাও আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের এই দিনেই জাতিসংঘে বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়। প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থা, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাব্যবস্থা সংস্কারে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সংস্কারের জন্যও পৃথক কমিশনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কোনো বিদেশি ব্যবসা বা বিনিয়োগ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতেও বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর।

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব সংস্কার যেন টেকসই হয়, তা দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত করতে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে ড. ইউনূস বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা ব্যাপকতর ও গভীরতর করার আহ্বান জানান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু নিজের দেশকে নিয়ে নয়, বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর অমানবিক বর্বরোচিত হামলারও তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর উদ্বেগ ও নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা থামছে না। ফিলিস্তিনের বিদ্যমান বাস্তবতা কেবল আরব কিংবা মুসলমানদের জন্যই উদ্বেগজনক নয়, বরং তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের। একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেক ফিলিস্তিনির জীবন অমূল্য। ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়বদ্ধ করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতা, বিশেষত নারী ও শিশুদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যে নিষ্ঠুরতা বিশ্ব দেখছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনতে পারবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে এর বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা, পরিবেশগত দিকসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ এক অনন্য রূপ ধারণ করে, যা বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেক কাজ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে অন্যায়, জুলুম ও অর্থনীতিকে ধ্বংসের গহ্বর থেকে উঠিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়াই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। কিন্তু এর জন্য রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। কারণ স্বৈরাচারের সহযোগীরা-প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে এখনও বিভিন্ন পদে বসে আছে। এদের না সরালে, স্বৈরাচারের কৌশলীদের গ্রেপ্তার না করলে, উপযুক্ত বিচারের আওতায় না আনলে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোদিনও সম্ভব হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে স্বপ্নের কথা, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বিশ্বদরবারে প্রকাশ করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও কঠোর পদক্ষেপ।
রাজনীতিবিদরা বেশি সময় দিতে চাচ্ছেন না।

তারা চাচ্ছেন রোড়ম্যাপ। আর সংস্কারের কথা বলা হলেও সংস্কারগুলো করতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সংস্কার কাজে এত দীর্ঘ সময় নেয়া হলে দেশে অস্থিরতা বাড়বে, জাতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। তাই জনগণ মনে করে, সংস্কারের পরিধি কমিয়ে আনতে হবে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারই জরুরি। সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে হবে। এজন্য দরকার দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী, প্রয়োজনে নতুন পুলিশ নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংক খাতের প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ সুগম করতে হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, আশা করা যায় শিগগিরই এ খাত ঘুরে দাঁড়াবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে মূলত গণতন্ত্র তথা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশ শাসনের উদ্দেশ্য সামনে রেখে। সুতরাং বর্তমান সরকারের প্রধান টার্গেট হওয়া উচিত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা সরকার গঠন। এ দেশ অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত। প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন কাজ এবং তা দীর্ঘ মেয়াদের। রাজনৈতিক দলগুলোই পারে এ দীর্ঘ মেয়াদের কাজগুলো সম্পাদন করতে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ধারাবাহিক সরকারগুলোর সদিচ্ছার ওপর।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসা উচিত। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে জরুরি সংস্কারের খাতগুলো এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ। তখনই জনগণের মাঝে জেগে উঠবে কাক্সিক্ষত আশা। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরে আসুক। জাতিসংঘে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনন্য ভাষণের সার্থকতার প্রতিফলন ঘটুক, এটাই প্রত্যাশা।