সম্প্রতি গণবিশ্ববিদ্যালয় এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতা ও প্রদশর্নী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তার বক্তব্যে বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে হতে হবে মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা দিতে হবে, তাহলেই তাদের কাছ থেকে আমরা নতুন কিছু পাব। মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক হয়ে শিক্ষার্থীদের গণমুখী শিক্ষা দিতে অন্য অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে বলে গণবিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানান তিনি।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দেলওয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফরিদা আদিব খানম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. মনজুর কাদির আহমেদ ও ছবি প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক বাংলাদেশের প্রথম ফিআপ গোল্ড মেডেলিস্ট হাছান সাইফুদ্দিন চন্দন অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
ছবি প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ডা. মো. জহিরুল আলম গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে আমেরিকার জনস হপকিনস বুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথে পড়ালেখা করছেন। তিনি জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ও প্রতিযোগিতার পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
পরে ৬৮ প্রতিযোগীর ১৩৩টি ছবির মধ্য থেকে ১০ জন বিজয়ী ও ১০ জন রানারআপের নাম ঘোষণা ও পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় জনস হপকিনস বুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক মারিয়া দিনার ওয়েস্ট, অধ্যাপক কেইথ পি ওয়েস্ট ও অধ্যাপক হেনরি বি পেরি এক ভিডিওবার্তায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। সবশেষে বিজয়ী ও রানারআপদের ২০টি ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন হাছান সাইফুদ্দিন চন্দন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. মনজুর কাদির আহমেদ।
মোহাম্মদ রনি খাঁ