গণহত্যার বিচার ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন দাবি রোহিঙ্গা নাগরিকদের

প্রতিনিধি, কক্সবাজার : পাঁচ বছর আগে নিজ দেশ মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবি ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের ২০টি ক্যাম্পে পৃথকভাবে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। 

‘গো ব্যাক হোম’ প্রতিপাদ্যে চলমান মানববন্ধনে নানা দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাম্প ও ব্লকভিত্তিক কমিউনিটি রোহিঙ্গা নেতারা। এ সময় উপস্থিত রোহিঙ্গাদের একবাক্যের দাবি ছিল  ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

শ’খানেক রোহিঙ্গা মানববন্ধন করতে পারবেন- এমন অনুমতি দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি সমাবেশে রূপ নেয়। নিপীড়নের বিচার দাবিতে হাজারো রোহিঙ্গা নাগরিক স্বতঃস্ফুর্তভাবে মানববন্ধনে অংশ নেন। সেখানে তারা ২০১৭ সালে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া গণহত্যা, ধর্ষণসহ-নিপীড়নের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পূর্ণ মর্যাদা ও নাগরিক সুবিধাসহ প্রত্যাবাসন কামনা করেন তারা। এ সময় তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালী, থাইংখালীর তাজনিমারখোলাসহ ২০টি ক্যাম্পে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে।

ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের উপ-অধিনায়ক কামরান হোসেন বলেন, তার অধীন ১৬, ১৩ নম্বর ক্যাম্পসহ ১১টি ক্যাম্পে ২০টি পৃথম স্থানে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। মানববন্ধনে নিরাপত্তা জোরদার ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা দেশছাড়া হওয়ার ৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ক্যাম্পে প্রথম বড় সমাবেশ করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মাস্টার মুহিবুল্লাহ। পরে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। এবারের সমাবেশে ওইভাবে কেউ নেতৃত্বে ছিলেন না। কমিউনিটি নেতাদের উদ্যোগেই  রোহিঙ্গারা সমবেত হন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০