Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:14 am

গবেষণায় বাকৃবি উপাচার্যের এআইপি সম্মাননা অর্জন

প্রতিনিধি, বাকৃবি: লবণাক্ততা-সহিষ্ণু তিনটি সরষের জাত এবং বাউধান-৩ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সিআইপি মর্যাদায় এআইপি (এগ্রিকালচারলি ইম্পরট্যান্ট পারসন) নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। গতকাল বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা, ২০২০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বাকৃবি উপাচার্যের হাতে এই পদক তুলে দেন।

স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, কৃষি গবেষণার জন্য প্রাপ্ত এ স্বীকৃতিতে আমি উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। এ অর্জন আসলে আমার একার নয়, এটি বাকৃবি পরিবারের সবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষি গবেষণার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। কৃষি গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে যা করা দরকার, সেটিই তিনি করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে কৃষিজ উৎপাদন ঠিক রেখে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কৃষির উৎপাদন ঠিক রয়েছে বলেই এখন পর্যন্ত আমাদের সামগ্রিক কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি, আর এটা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।

উপাচার্য আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষকদের মাঝে তা সম্প্রসারণ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফলে দেশ আজ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অসামান্য সাফল্য লাভ করতে পেরেছে। এআইপি’র মতো সম্মাননা আমাকে ও আমাদের কৃষি গবেষণার অগ্রযাত্রায় আরও কাজ করতে সাহায্য করবে।

জানা যায়, গত রোববার এআইপি হিসেবে মনোনীত ১৩ জনের নামে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। তারা অন্যান্য ক্ষেত্রে সিআইপিদের মতো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। মনোনীতরা এআইপি কার্ডের সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র পাবেন। এআইপির মেয়াদ হবে এক বছর (চলতি বছরের জুলাই থেকে পরের বছরের জুন মাস পর্যন্ত)। এআইপিরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি/মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণে সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। একজন এআইপি ব্যবসা বা দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ করে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু করবে। একজন এআইপি তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, মা, বাবা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।