ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম): জ্যৈষ্ঠ মাস মধু মাস। আর মধু মাসের অন্যরকম বৈশিষ্ট্য হলো আম, লিচু ও কাঁঠালের পাশাপাশি হরেক রকেমের সুস্বাদু ফল পাওয়া যায় স্থানীয় বাজারে। মধুমাস জ্যৈষ্ঠতে নানারকম ফলের সঙ্গে রয়েছে তালশাঁসও। গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এই ফলটি।
গরমের হাত থেকে দেহকে সতেজ রাখতে ভোক্তারা ভিড় জমাচ্ছেন কচি তালের শাঁস কিনতে। এটি খেতে নরম, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। মধু মাসে বাজারে কচি তালের শাঁস সচরাচর চোখে পড়ে। তালের শাঁস অতি সুস্বাদু হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের মাঝে এটি একটি জনপ্রিয় ফল। তাই তো মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমি কচি তাল। আর এ সময় কদর বাড়ে এ ফলের। কাঠফাটা গরমে কচি তালের শাঁস এক প্রশান্তিময় খাদ্য। বিক্রেতারা শাঁস কাটছেন আর ক্রেতারা নিচ্ছেন।
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ছোট কাঁচা তালে ভরা বাজার। বাজারের ধারে, রাস্তার পাশে এবং জনসমাগম বেশি এমন স্থানগুলোয় এখন শোভা পাচ্ছে এসব তাল ফল। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তালের শাঁস সংগ্রহ করে বাজারে পসরা সাজিয়ে বসছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁসের বেশ চাহিদা থাকায় ক্রেতারা আগ্রহভরে কিনছেন। তালের শাঁস অতি সুস্বাদু হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের মাঝে এটি জনপ্রিয় ফল। তালের শাঁস প্রতিটি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বারইয়ারহাট পৌরসভা ট্রাফিক মোড় এলাকায় তালের শাঁস বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, প্রতি বছর এ সময় তালের শাঁস বিক্রি করা শুরু করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে কচি তালগুলো কিনে নিয়ে আসা হয়। প্রায় এক থেকে দেড় মাস চলে এই তালের শাঁস বিক্রি। ক্রেতাদের চাহিদামফিক প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা এসব স্থানে বসে প্রতিজন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ তালশাঁস বিক্রি করে থাকেন।
মীরসরাই সদরে আরেক তালের ডাব বিক্রেতা জাহাঙ্গীর ইসলাম জানান, এখন তালের মৌসুম হওয়ায় গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করে থাকেন। এখন গরম বেশি থাকায় তালশাঁসের চাহিদা বাড়ে।
প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ কাঁচা তাল বিক্রি করা হয়ে থাকে। মৌসুমি তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। গরমে তালের শাঁস খেতে বেশ আরামদায়ক।