Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:27 am

গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

পানিস্বল্পতা গরমে অতিরিক্ত ঘামার কারণে দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পানি বেরিয়ে যায়, ফলে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। সব তরলের মধ্যে পানি শ্রেষ্ঠ। দৈনিক দু-তিন লিটার বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি ডাবের পানি, লেবুপানি, কাঁচা আমের জুস, বেলের শরবত, মাঠা, চিনি ছাড়া তাজা ফলের রস প্রভৃতি স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে হবে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত চিনি দেয়া সফট ড্রিংকস, জুস, চা, কফি দেহকে আরও পানিশূন্য করে।

প্রস্রাবের সংক্রমণ এ সময়টায় প্রস াবের সংক্রমণ খুব বেশি দেখা দেয়। এ সমস্যায় অ্যাসিডিক বা টক ফল কম খেতে হবে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল খাবার যেমনÑদারুচিনি, রসুন, মধু খুব ভালো কাজ করে।

প্রচণ্ড গরমে অনেকই হিটস্ট্রোক করেন। ডাবের পানি, লাউ-পেঁপের পাতলা ঝোল, করলা, তরমুজ, বার্লিÑএই খাবারগুলো গ্রহণ করলে শরীরে দীর্ঘ সময় পানির মজুত থাকে।

অনেকে রাস্তায় খোলা পরিবেশে বানানো আখের রস, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, অ্যালোভেরার জুস, চিনি দেয়া বিভিন্ন ফলের রস খেয়ে ফেলেন। এ কারণে গরমের সময় পানিবাহিত রোগ; যেমন টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, আমাশয়, বদহজম প্রভৃতি অনেক বেড়ে যায়। যেকোনো পেটের সমস্যায় ডাবের পানি, টকদই, আপেল, কাঁচা কলা, পেঁপে, চিয়া সিড, আদা, কিমচি, হলুদ চা, জিরাপানি, তুলসী চা, ইসবগুলের ভুসি, বার্লি, ওটস, মধু ও লাল খাবার ভালো কাজ করে। এ ছাড়া ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা, ধুন্দল, শসা, পটোল প্রভৃতি গ্রীষ্মের সবজি পেটের সমস্যায় বেশ উপকারী।

ঋতু পরিবর্তনের কারণে বা গরমে অতিরিক্ত ঘেমে অনেকেই এ সময় ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলাব্যথায় আক্রান্ত হয়। এ সময় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ টক ফল ও সবজি, যেমন কমলা, মাল্টা, আনারস, পেয়ারা, ক্যাপসিকাম বেশ ভালো কাজ দেয়। এ ছাড়া গরম স্যুপ, গ্রিন টি, তুলসী চা, আদা চা বা যেকোনো হারবাল চা সর্দি, কাশি, গলাব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর। গরম পানিতে হালকা মধু, আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ প্রভৃতি মসলা দিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। ঠান্ডা লাগলে দই, কলা, ডাবের পানি প্রভৃতি খাওয়া যাবে না, এমন কোনো কথা নেই।

গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত মসলা, তেল, ভাজাপোড়া, রাস্তার খোলা খাবার অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া গরু-খাসির ভুঁড়ি, কলিজা, মাংস, পায়া প্রভৃতি এ সময় এড়িয়ে চলা উচিত।

ফাহমিদা হাশেম

জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল