গরমে স্বস্তির ভ্রমণ

যেমন রোদ, তেমনই গরম। এ সময় ভ্রমণ মুহূর্ত বেশ অস্বস্তিকর বটে। কিন্তু ভ্রমণপিয়াসী মন কি তা মানে ভ্রমণের মতো আনন্দমুহূর্তকে কখনই কোনো অজুহাতে হাতছাড়া করতে চান না অনেকে। গরম আর ঠাণ্ডাই হোক, সুযোগ পেলেই তারা বেরিয়ে পড়েন। মজায় কাটান সময়টুকু। কীভাবে এ পর্যটকরা স্বস্তিতে ঘুরে বেড়ান? কীভাবে আনন্দময় করে তোলেন তাদের ভ্রমণকে? তাদের মতো আপনিও কিছু বিষয় মেনে গরমে স্বস্তিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন:
# এ সময় ভ্রমণে যেতে চাইলে অবশ্যই হালকা ও সুতির কাপড় পরে যেতে হবে। রঙিন পোশাক পড়া থেকে বিরত থাকা শ্রেয়। এ সময় যতটা সম্ভব হালকা রঙের পোশাক পড়তে হবে, এতে তাপ কম লাগবে
# গরমকালে ভ্রমণের সময় অবশ্যই সানগ্লাস, ক্যাপ ও ছাতা সঙ্গে নিতে হবে। রোদ ও বৃষ্টি দুটোতেই ছাতা উপকারে আসবে
# এ সময়ে ভ্রমণকালে তোয়ালে বা গামছা বেশ উপকারী। ভ্রমণে মাথার উপরে ছাতা থাকলেও গরমে শরীর ঘামতে থাকে, তখন গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে নিলে কিছুটা প্রশান্তি লাগবে। আবার বৃষ্টির পানিতে ভিজলে সহজে মুছে নেওয়া যাবে
# গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড রোদ থাকে, তাই ভ্রমণের সময় সানস্ক্রিন আবশ্যক। কারণ রোদে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
# গরমের দিনে ঘাম হওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই ভ্রমণের সময় সঙ্গে পেট খারাপের ওষুধ, বিশুদ্ধ   পানি ও স্যালাইন রাখতে হবে। সঙ্গে ট্যালকম কিংবা প্রিকলি হিট পাউডারও নিতে হবে শিশুকে নিয়ে ভ্রমণে গেলে তার প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শরীর ঘেমে উঠল কি না সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে ঘুরে এসে একবার গোসল করিয়ে দিলে ভালো হয়। তাছাড়া নিজেও গোসল করলে সতেজ লাগবে। এ সময়ে দিনে দু’বার গোসল করলে ক্ষতি নেই। অনেক সময় ঘামে গা ভিজে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হয়। এদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

সতর্কতা
গরমে ভ্রমণে যাওয়ার আগে সেখানকার আবহাওয়ার খবর নেওয়া প্রয়োজন। হোটেল রেস্তোরাঁ ও গাড়ি পর্যাপ্ত আছে কি না, জেনে নিন। অফ সিজনে অনেক জায়গায় প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া যায় না। খাবারের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তৈলাক্ত, মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া গরু ও হাঁসের মাংস, ইলিশ, চিংড়িসহ চর্বিযুক্ত কোনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলো শরীরকে আরও গরম করে। শুধু শাকসবজি খেতে পারলে ভালো। চা, কফিও পরিমাণে কম খেতে হবে। আর কিছুক্ষণ পর পর খাবার স্যালাইন, ঠাণ্ডা পানি, ডাবের পানি এগুলো বেশি করে খেতে হবে। বেশি গরমে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। পানি ও খাবার নিয়মিত খাবেন পরিমিত পরিমাণে। বেশি হাঁটা বা খাড়ি বাইতে হবে এ ধরনের স্পটে না যাওয়াই ভালো। শিশুকে হালকা খাবার দেবেন। আইসক্রিম বা দই খাওয়া যেতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০