Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:20 am

গরুর দাম বাড়লেও চামড়ার দাম কমছে কেন?

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ঈদে পশু কুরবানির পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে চামড়া বেচাকেনার কাজ। গত কয়েক বছর ধরে চামড়ার চাহিদা ও দাম কমার কারণে এ বছর থেকে লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারন করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু এর প্রভাব কাচা চামড়া বিক্রিতে পড়েনি বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে এসব গরুর চামড়া সংগ্রহ করেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ১০০ পিস চামড়া নিয়ে পোস্তা এলাকায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন। দাম বাড়িয়ে সরকার চামড়ার দাম বেঁধে দেওয়ায় তার আশা ছিল এবার বাড়তি দাম পাবেন তিনি।

আলমগীর হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এবার আশা ছিল একটু বাড়তি দাম পাব। কিন্ত এখানে এসে দেখি চামড়ার চাহিদাই কম। সে কারণে দাম পাচ্ছি না খুব একটা।

তবে পোস্তার চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছে, সরকার লবনযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে তাদের বাড়তি খরচ হওয়ায় তারা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের খুব একটা দাম দিতে পারছেন না।

রাজধানীজুড়ে যেসব পশু কুরবানি হয় তার একটা বড় অংশ বিক্রি হয় পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায়। কুরবানির দিন দুপুরের পর থেকে এই এলাকায় আসতে শুরু করে পশুর চামড়া।

সাভারের হেমায়েতপুরে তৈরি হয়েছে আরেকটি ট্যানারি সমিতি। গত কয়েক বছরে সেখানেও বেড়েছে বেচা কেনা।

সোমবার বিকালে রাজধানীর পোস্তায় প্রতি গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আবার ছোট গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খাসির চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০টাকা দরে।

চলতি বছর কুরবানির সময় এক লাখ ৬০ হাজার পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকার আড়তদারেরা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ী ইকবাল শেখ ৫০ পিচ গরুর চামড়া বিক্রি করতে এসেছিলেন পোস্তা এলাকায়।

পোস্তার আড়তদাররা বেশি দাম দিয়ে চামড়া কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলেও তার কাছে মনে হয়েছে।

সোমবার বিকালে একই অবস্থা ছিল আমিন বাজারের ট্যানারি পল্লীতে।