Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 9:55 pm

গর্ভকালীন কভিড জটিলতা

গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে কভিড-১৯ গুরুতর অসুস্থতার বাড়তি ঝুঁকি এবং প্রতিকূল প্রসূতি ও প্রসবকালীন জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গর্ভবতী নারীদের কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি নয়; কিন্তু গর্ভবতী নারী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে গুরুতর কভিড-১৯ হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

স্কটিশ গবেষকরা দেখেছেন, নারীরা গর্ভাবস্থার শেষের দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে জš§গত জটিলতার ঝুঁঁকি বেড়ে যায় অনেক গুণ। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কভিডে আক্রান্ত অথবা উপসর্গবিহীন হলে তাদের তুলনায় গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এর ঝুঁকি বেশি। গবেষকরা দেখেছেন, প্রসবের তারিখের ২৪ দিন বা এর কম সময়ের আগে এ ভাইরাসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে অকালজন্ম, মৃতপ্রসব ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ জটিলতা দেখা গেছে টিকা না নেয়া নারীদের মধ্যে।

গর্ভবতী মায়ের টিকা

গবেষকরা বলছেন, গর্ভবতী নারী ও তাদের শিশুদের জটিলতা থেকে রক্ষায় টিকার ভূমিকা অপরিসীম। সরকারের পক্ষ থেকে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানের যেকোনো পর্যায়ে কভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন এবং সঠিক সময়ে টিকা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আপনি আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা নিয়ে নেবেন। টিকা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই কভিড রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করবে।

গর্ভাবস্থায় কভিডের নতুন ওষুধগুলো কি নিরাপদ

প্রথম দিকে যেসব ওষুধ ব্যবহƒত হতো, সেসবের বেশকটি এখন ব্যবহƒত হয় না; আবার কিছু ওষুধের ভূমিকা জোরালোভাবে প্রমাণিত হয়েছে; যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট।

নতুন কিছু অ্যান্টিভাইরাল (মলনুপিরাভির, প্যাক্সলোভিড) বাজারে এসেছে, যেগুলো মৃদু উপসর্গের রোগীদের দেয়া হয়ে থাকে উপসর্গ শুরুর পাঁচ দিনের মধ্যে। ওষুধগুলো কভিডের তীব্রতা বা জটিলতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় অনেক ভাগ। কিন্তু এ আ্যান্টিভাইরাল ওষুধগুলো গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থায় ওষুধগুলোর সুরক্ষা নিয়ে গবেষণা চলছে।

ডা. নওসাবাহ্ নূর

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

পপুলার মেডিকেল কলেজ, ঢাকা