শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ‘মর্মান্তিক ভুল’। এটা দেশের জন্য একটি ‘দুঃখের দিন’। গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর: সিএনএন।
শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের কয়েক ঘণ্টা পর ভাষণে বাইডেন স্পষ্ট করে দেন, গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে লড়াই চলবে।
প্রায় পাঁচ দশকের পুরোনো গর্ভপাত-সংক্রান্ত আইন বাতিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। সেদেশের শীর্ষ আদালতের ৯ বিচারপতির মধ্যে ছয়জন এই রায় দেন। ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত আর সাংবিধানিক অধিকার নয়। এর জেরে মার্কিন মুলুকে লাখ লাখ নারী রাইট টু অ্যাবরশন বা গর্ভপাতের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। ১৯৭৩ সালের বহুল চর্চিত রো বনাম ওয়েড মামলার রায় কার্যকর হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত-সংক্রান্ত অধিকারের আইন ছিল। সেই আইন খারিজ করে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পক্ষে রায় দেন। দেশটির শীর্ষ আদালত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সংবিধান কখনোই দেয়নি।
সেই রায়ের বিরোধিতা করে বাইডেন বলেন, আদালত যা করেছেন তা নজিরবিহীন। আদালত যুক্তরাষ্ট্রবাসীর সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে দেশ ১৫০ বছর পিছিয়ে গেল। এটি উগ্র মতাদর্শকে স্বীকৃতি দিয়ে করা একটি মর্মান্তিক ভুল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। রিপাবলিকানরা আইনত গর্ভপাতের বিরুদ্ধে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল বিচারপতিদের মধ্যে তিনজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত। ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি, তাতে ভাষণও দেন। জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটরা এর বিরোধিতা করে আসছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে ? যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বাইডেনের।