গলাকাটা ভাড়া প্রতিহত করবে যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে বাস ও লঞ্চের ভাড়া পুনর্র্নির্ধারণ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। কিন্তু বরাবরের মতো পরিবহন মালিকদের সুবিধা দিতে যাত্রী প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার অবৈধভাবে এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চের মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে ডিজেলচালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি, অকটেন ও পেট্রোল চালিতসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

আর বাস ও লঞ্চ মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সরকার তাদের চাহিদা অনুযায়ী একচেটিয়া ভাড়া বাড়িয়ে দিতে যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে বাস ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির আয়োজন করেছে।

ইতোমধ্যে মালিকরা বাসের ভাড়া ৫০ শতাংশ ও লঞ্চের ভাড়া ১০০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অনেকেই মালিকদের পকেটে ঢুকে আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যাত্রীদের স্বার্থ বিকিয়ে গলাকাটা ভাড়া নির্ধারণ করা হলে দেশের সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে মালিক-সরকার মিলেমিশে একচেটিয়া ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০