শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্যানসারের কেমোথেরাপি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসেবায় গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে গাঁজা উৎপাদন ও রফতানির বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী গাঁজাজাতীয় দ্রব্যের উৎপাদন বাড়াচ্ছে অনেক দেশ। গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আগামী তিন বছরে এ খাতে চার লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আর এতে দেশটিতে রাজস্ব আদায় হবে অন্তত ৪০ বিলিয়ন ডলার। খবর বিবিসি, এএফপি।
২০২১ সালের মধ্যে বৈধভাবে (ক্যানবিস সেক্টর) গাঁজা খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আদায় এবং চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করবে। মঙ্গলবার গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আর্কিভিউ’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ খাতে ভোক্তাদের ২০ দশমিক আট বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব জড়িত। ২০১৭ সালে রেকর্ড ১৫০ শতাংশ রাজস্ব বেড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার আদায় হয়। ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাশা করছে, আগামী তিন বছরে আরও চার বিলিয়ন ডলার কর আদায় হবে।
ওই গবেষণায় আরও বলা হয়, ২০২১ সালের মধ্যে কেবল ক্যালিফোর্নিয়ায় এক লাখ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ তথা এক লাখ ৪৬ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গাঁজার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ক্যানসারের কেমোথেরাপি চিকিৎসায় রোগীর মাথা ধরা ও বমিভাব কমাতে, এইডস রোগীর ক্ষুধা জাগাতে এবং পুরোনো বাত ও মাংসপেশিতে ব্যথা দূর করতে চিকিৎসক গাঁজার ব্যবহারে অনুমতি দিয়ে থাকেন।
বিশ্বে চিকিৎসার জন্য যে গাঁজা চাষ হয়, তার অর্থকরী মূল্য ২০২৫ সাল নাগাদ ৫৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।